Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়াধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়, রংপুরের ওয়েবপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম। অত্র কার্যালয়ের অধিক্ষেত্রে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং গাইবান্ধা জেলাধীন কারখানা/দোকান/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, বকেয়া মজুরী, দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ, সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরী, প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা, দৈনিক কর্মঘন্টা, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বই, বিভিন্ন প্রকারের ছুটি, বিধিবর্হিভূত শ্রমিক ছাঁটাই/টার্মিনেশন/বরখাস্তসহ চাকুরি সংক্রান্ত যেকোন অভিযোগ সরাসরি অথবা অধিদপ্তরের শ্রমিক হেল্প লাইন ১৬৩৫৭ (টোল ফ্রি) নম্বরে কল করে জানানো যায়। কর্মক্ষেত্রে যেকোন সহিংসতা/অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ ছাড়াও শ্রম সম্পর্কিত যেকোন তথ্য জানতে কিংবা পরামর্শ নিতে ১৬৩৫৭ (টোল ফ্রি) হেল্প লাইনের সহায়তা নেওয়া যায়। অনুরোধে তথ্য প্রদানকারীর/অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়।


এক নজরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (DIFE)

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়াধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (DIFE) বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর বিধান অনুযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসমূহ বাস্তবায়নসহ শ্রম ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা সমুন্নত রেখে মালিক, শ্রমিক, সরকার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সমন্বয়ের কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৬৯ সনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের শ্রম নীতির আলোকে ও এয়ার ভাইস মার্শাল নূর খানের রিপোর্টের ভিত্তিতে শ্রম দপ্তরকে- (১) শ্রম পরিদপ্তর (২) কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর এবং (৩) ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন পরিদপ্তর-এ তিনভাগে ভাগ করা হয়। ১৯৬৯ সনের শ্রম নীতি এবং শ্রম পরিদর্শন সম্পর্কিত ৮১ নং আই.এল. ও কনভেনশন অনুযায়ী ১৯৭০ সনে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর নামে একটি স্বতন্ত্র পরিদপ্তর সৃষ্টি হয়। গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সনে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে অভ্যুদয় ঘটে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের। স্বাধীনতা লাভের অর্ধ শত বছরে এ দীর্ঘপথ পরিক্রমায় বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কলকারখানা, দোকান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্প ও বাণিজ্য সেক্টরের ভূমিকা প্রতিদিনই বাড়ছে। এসব সেক্টরে কাজ করছে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারী। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ক্রমবর্ধমান বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবি মানুষের আইনগত অধিকার, নিরাপদ ও স্বাস্থ্য সম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করে আসছে। 


এ বিপুল সংখ্যক কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শ্রম আইন প্রয়োগের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিল। বিশেষতঃ গার্মেন্টস কারখানায় কমপ্লায়ান্স নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এ অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। জনবল ও অবকাঠামো ছিল সারা দেশের কারখানা এবং দোকান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। এমন বাস্তবতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৪ সনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করে জনবল বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ০১টি প্রধান কার্যালয়, ০৪টি বিভাগীয় কার্যালয়, ০৪টি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং ২৩টি শাখা কার্যালয় সহ মোট ৩২টি কার্যালয়ে ৩১৪ জন জনবলের স্থলে ০১টি প্রধান কার্যালয় ও ২৩টি জেলা কার্যালয়ের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরীর ৬৭৯টি পদ রাজস্বখাতে সৃজন পূর্বক মোট ৯৯৩ জনবলের সমন্বয়ে সকল আনুষ্ঠানিকতা পালন পূর্বক অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়।     


২০২১ এবং ২০২২ সালে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের নতুন সাংগঠনিক কাঠামো যথাযথভাবে অনুমোদিত হয়ে বর্তমানে ১টি প্রধান কার্যালয় এবং ৩১টি জেলা কার্যালয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরীর মোট ১১৫৬ জন অনুমোদিত জনবল রয়েছে।    


উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়, রংপুর এর অধিক্ষেত্র রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং গাইবান্ধা জেলার সমগ্র এলাকা। সাংগঠনিক কাঠামো (Organogram) অনুযায়ী অত্র কার্যালয়ে ১৮ জন কর্মকর্তা এবং ১৩ জন কর্মচারীর মোট ৩১টি পদ রয়েছে। উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়, রংপুর এর ঠিকানাঃ আর. কে রোড, গণেশপুর, পোস্ট কোডঃ ৫৪০০    


🔹 ভিশন  

◉ নিরাপদ কর্মস্থল, শোভন কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের জন্য উন্নত জীবনমান।


🔹 মিশন  

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী শ্রমিকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রম নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহণ;   

◉ কর্মক্ষেত্রে সকল শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটির ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ;  

◉ বিভিন্ন খাতে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরী হার বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ।